কেরালা শিম একটি পুষ্টিকর ও বহুমুখী সবজি, যা তার স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং চাষের সহজলভ্যতার জন্য পরিচিত।
১. বোটানিক্যাল নাম ও পরিবার:
- বোটানিক্যাল নাম: Psophocarpus tetragonolobus
- পরিবার: Fabaceae (শিম পরিবার)
২. উৎপত্তি ও বিস্তার:
- কেরালা শিমের উৎপত্তি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়, বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউ গিনিতে।
৩. গাছের বৈশিষ্ট্য:
- কেরালা শিম গাছ লতানো প্রকৃতির এবং সাধারণত ৩-৪ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।
- পাতাগুলো যৌগিক এবং সবুজ রঙের।
- ফুলগুলি নীল বা সাদা রঙের হয়।
- ফলগুলি চার কোণা বা ডানাযুক্ত (winged) এবং সবুজ রঙের হয়।
৪. পুষ্টিগুণ:
কেরালা শিমে রয়েছে নানান পুষ্টিগুণ:
- প্রোটিন: উচ্চমাত্রায় প্রোটিন রয়েছে, যা উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের ভালো উৎস।
- ভিটামিন: ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স।
- খনিজ: ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম।
- ফাইবার: উচ্চমাত্রায় ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে।
৫. স্বাস্থ্য উপকারিতা:
- প্রোটিনের ভালো উৎস, বিশেষ করে নিরামিষাশীদের জন্য।
- হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
৬. চাষ পদ্ধতি:
- মাটি: উর্বর, দোআঁশ মাটি কেরালা শিম চাষের জন্য উপযোগী।
- জলবায়ু: উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু কেরালা শিম চাষের জন্য আদর্শ।
- সেচ: নিয়মিত সেচ দিতে হয়, তবে জলাবদ্ধতা এড়ানো উচিত।
কেরালা শিমের বীজ এর দাম?
বাজারে এর মূল্য ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, তবে আমরা সবসময়ই কম দামে দিচ্ছি , মাত্র ৯০ টাকা।
- কেরালা শিম সবজি হিসেবে রান্না করা হয়।
- এটি ভাজি, তরকারি, স্যুপ বা স্ট্যু হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
- কাঁচা বা সিদ্ধ করে সালাদ হিসেবেও খাওয়া যায়।
কেরালা শিম একটি সহজলভ্য এবং পুষ্টিকর সবজি, যা স্বাস্থ্য ও কৃষি উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। এটি তার উচ্চ প্রোটিন ও পুষ্টিগুণের জন্য বিশেষভাবে মূল্যবান। কেরালা শিমের বীজ ।।