করলা একটি পুষ্টিকর ও ঔষধি গুণসম্পন্ন সবজি, যা তার তিক্ত স্বাদের জন্য পরিচিত। এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
বৈশিষ্ট্য:
১. আকৃতি: করলা লম্বা ও খাঁজকাটা আকৃতির হয়, এবং এর ত্বক অমসৃণ ও কাঁটাযুক্ত।
২. রং: সাধারণত সবুজ রঙের হয়, তবে পাকলে হলুদ বা কমলা রঙ ধারণ করে।
৩. স্বাদ: করলার স্বাদ তিক্ত, যা এর প্রধান বৈশিষ্ট্য।
৪. বীজ: করলার ভেতরে সাদা রঙের বীজ থাকে, যা পাকলে লাল রঙের হয়।
পুষ্টিগুণ:
করলা পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং নিম্নলিখিত পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ:
- ভিটামিন সি: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- ভিটামিন এ: চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- ফাইবার: হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
- পটাসিয়াম: হার্টের স্বাস্থ্য ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- আয়রন: রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: শরীরের ফ্রি র্যাডিকেল দূর করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্য উপকারিতা:
১. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: করলায় ইনসুলিনের মতো উপাদান রয়েছে, যা রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৩. হজমশক্তি বৃদ্ধি: ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হজম প্রক্রিয়া সহজ করে।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণ: কম ক্যালোরি ও উচ্চ ফাইবার থাকায় এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৫. ত্বকের স্বাস্থ্য: ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ব্রণ ও অন্যান্য ত্বকের সমস্যা দূর করে।
চাষ পদ্ধতি:
করলা সাধারণত উর্বর ও জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ মাটিতে ভালো জন্মে। এর চাষ পদ্ধতি নিম্নরূপ:
- মাটি: দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ মাটি করলা চাষের জন্য উপযুক্ত।
- সেচ: মাটিতে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে।
- সার: জৈব সার ব্যবহার করলে ফলন ভালো হয়।
রান্না ও ব্যবহার:
করলা বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। এটি দিয়ে ভাজি, ঝোল, ভর্তা, বা সালাদ তৈরি করা যায়। এর তিক্ত স্বাদ কমাতে লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখা যায়।
করলা একটি গুরুত্বপূর্ণ সবজি যা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর তিক্ত স্বাদ সত্ত্বেও এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।
করলার বীজের দাম কতো ?
করলার বীজ- ৫ গ্রাম প্যাকেট অফার মূল্য মাত্র ৩৮ টাকা