ধুন্দুল একটি জনপ্রিয় সবজি যা দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ব্যাপকভাবে চাষ ও খাওয়া হয়। ধুন্দুল তার লম্বা এবং সরু আকৃতি, হালকা স্বাদ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য পরিচিত।
ধুন্দুলের বৈশিষ্ট্য:
- আকার ও আকৃতি: ধুন্দুল লম্বা এবং সরু আকৃতির হয়, যা সাপের মতো দেখতে। এর দৈর্ঘ্য সাধারণত ৩০-১৫০ সেমি পর্যন্ত হয়।
- রং: কাঁচা অবস্থায় এটি সবুজ রঙের হয় এবং পাকলে লাল বা কমলা রঙ ধারণ করে।
- পৃষ্ঠতল: এর পৃষ্ঠতল মসৃণ এবং কিছুটা ফ্যাকাশে দাগযুক্ত হতে পারে।
- বীজ: ভেতরে ছোট ছোট সাদা বা বাদামি বীজ থাকে, যা খাওয়ার সময় সাধারণত ফেলে দেওয়া হয়।
পুষ্টিগুণ:
ধুন্দুল পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে রয়েছে:
- ভিটামিন: ভিটামিন সি, এ, এবং বি কমপ্লেক্স।
- মিনারেলস: ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ফসফরাস।
- ফাইবার: হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং ক্যারোটিনয়েডস।
- কম ক্যালোরি: ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য উপকারী।
স্বাস্থ্য উপকারিতা:
- হজমশক্তি উন্নত: ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবার থাকায় এটি ওজন কমানোর জন্য উপকারী।
- ডিটক্সিফিকেশন: ধুন্দুল প্রাকৃতিকভাবে শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।
- ত্বকের স্বাস্থ্য: ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ব্রণ প্রতিরোধ করে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- ইমিউনিটি বুস্টার: ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
চাষ পদ্ধতি:
ধুন্দুল উষ্ণ এবং আর্দ্র আবহাওয়ায় ভালো জন্মে। এটি সাধারণত গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকালে চাষ করা হয়। মাটি অবশ্যই ভালোভাবে জৈব সারযুক্ত এবং নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকতে হবে। বীজ বপন করে এর চাষ করা যায়। গাছ দ্রুত বাড়ে এবং ৪০-৫০ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যায়।
ধুন্দলের বীজের দাম কতো ?
ধুন্দলের বীজ আমাদের অফার মূল্য ৩৮ টাকা