হাজারী বারোমাসি শসা একটি জনপ্রিয় শসার জাত। এটি উচ্চ ফলনশীল এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর।
### বৈশিষ্ট্য:
1. **আকার ও আকৃতি**:
– হাজারী বারোমাসি শসা আকারে লম্বা এবং মাঝারি মোটা হয়।
– একটি শসার দৈর্ঘ্য সাধারণত ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
2. **রং**:
– এর খোসার রং সাধারণত গাঢ় সবুজ হয়।
– ভেতরের শাঁস সাদা এবং নরম হয়।
3. **স্বাদ**:
– হাজারী বারোমাসি শসার স্বাদ হালকা মিষ্টি এবং সতেজ হয়।
– এটি কাঁচা বা রান্না করে খাওয়া যায়।
4. **পুষ্টিগুণ**:
– এতে প্রচুর পরিমাণে পানি, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার থাকে।
– এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং শরীরের জন্য উপকারী।
5. **চাষাবাদ**:
– হাজারী বারোমাসি শসা উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুতে ভালো জন্মে।
– এটি সাধারণত শীতকালে চাষ করা হয়।
– মাটি উর্বর এবং জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ হলে ফলন ভালো হয়।
6. **ফলন**:
– একটি গাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে শসা পাওয়া যায়।
– সঠিক পরিচর্যা করলে হাজারী শসার ফলন খুব ভালো হয়।
### ব্যবহার:
– হাজারী বারোমাসি শসা সাধারণত কাঁচা সালাদ হিসেবে খাওয়া হয়।
– এটি দিয়ে রায়তা, স্যান্ডউইচ, জুস ইত্যাদি তৈরি করা যায়।
– কিছু অঞ্চলে এটি আচার বা তরকারি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
শসার উপকারিতা:
1. **হজমশক্তি বৃদ্ধি**: ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হজমে সাহায্য করে।
2. **ওজন কমাতে সাহায্য করে**: এতে ক্যালোরি কম থাকে এবং পানি বেশি থাকে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
3. **ত্বকের জন্য উপকারী**: এতে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল ত্বকের জন্য ভালো।
4. **রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ**: এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
5. **হাইড্রেশন**: এতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে।
হাজারী শসা একটি পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু সবজি, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর চাষাবাদও তুলনামূলক সহজ এবং ফলন ভালো হওয়ায় এটি কৃষকদের কাছে জনপ্রিয়।
আমাদের থেকে নিশ্চিন্তে হাজারী শসার বীজ অর্ডার করতে পারেন